লাইফের র্যান্ডমনেস আর আনসার্টেইনটি মাঝে মাঝে ভাবায়। রিসেন্ট দুয়েক বছরে এইটা আলাদা করে অনুভব করতে পারতেসি বলে মনে হয়- বিশেষ করে আড্ডাগুলার টাইমিং আমলে নিয়ে। সবগুলা ঘটনার কথা আলাদা করে মেনশন করার কিছু নাই, দুয়েকটা স্যাম্পলই যথেষ্ট বিষয়টা বোঝানোর জন্য।
এই যেমন গতকাল রাতের কথা। পরের দিন সকালে সিটি কুইজ, ডু অর ডাই দশা দুইটারই। মাথা গরম। টেবিল ছেড়ে উঠা যেখানে হারাম, সেখানে ডাইনিং এ ভরপেট খাওয়ার পরও হুট করে রাত বারোটার পর পর মনে হয় ক্যান্টিনে একটু খায়া আসি। খিদা অত না থাকলেও রাত জাগার প্রস্তুতি হিসাবে নেমে যাই, ইচ্ছা করেই সাথে কাওকে নেইনাই- কারণ যাব আর আসব ইচ্ছা। বাকিটা ইতিহাস। প্রায় সাথে সাথেই খোদার খাসি জান্নাতুল নাঈমের আগমন, তারও একই অবস্থা। বান্দার সাথে যথারীতি কম্পাইলার-প্রেম-চাকরি-ডেভঅপস সংক্রান্ত জীবনবিলাপ পাড়তে পাড়তে হুট করে শেরেবাংলার ক্যান্টিনে হাজির ধ্রুব কামাল। রাতের শেষ ওইখানেই। জীবনমুখী আলোচনা ইন্ডাস্ট্রি-ব্যাচেলরশিপ থেকে শিফট হয় রিসার্চ-হায়ার স্টডিজ-বিয়াতে। খাওনের পরিমাণ বাড়ে ডাবল, কথা শেষ হয়না দেখে চায়ের কাপের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে বেড়ে হয় তিন। সিটি কুইজের চিন্তা ততক্ষণে ঊর্ধ্বগগনে।
হাওয়া বদল করতে কামাল সাহেবকে আউলা পর্যন্ত আগায় দিয়ে তারপর আবার রুমে ফেরত আসতে আসতে সাড়ে তিনটা-চারটা। মনে হইলো সারা সপ্তাহের মাথার গরম কমলো, অদ্ভুতরকমের ঠাণ্ডা লাগা শুরু করলো। আবার ড্যামেজও হইলো। ড্যামেজ কন্ট্রোল ভিন্ন আলাপ। সেদিকে না যাই।
প্রথম লাইনে ফেরত আসি। প্রবাবিলিটির এই খেলা গুলা চিন্তার উদ্রেক করে। আমার তো নিচে নামারই কথা ছিল না। ইভেন তিনজনের কারোরই আগে থেকে ঠিক করা ছিল না। তারপরও আমরা মিট করলাম এবং বহুত গ্যাজাইলাম। একজনের ক্যাচাল আরেকজন রিলেট করতে পারা গেল। তিনজন আলাদাভাবে প্ল্যান করে নামলে কি এইটা হইতো? আমি ক্যান্টিনে না গিয়ে অন্যখানে অন্য কারো সাথে বসলে কি বেটার এক্সপেরিয়েন্স হইতো? অথবা যেটুকু ভাল লাগার ছিল তাও লাগতো না, সময়টা বেমালুম নষ্ট হইতো? কেউই জানে না।
কথা হইলো, নাথিং ইজ ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট। এইজন্যই এপারেন্টলি টাইম নষ্টকারী ঘটনাগুলা থেকে উদ্ভুত আত্মগ্লানিরে যেমন ইগনোর করা যায়না, তেমন ইগনোর করা যায় না এই মাথা ঠাণ্ডা করা এক্সপেরিয়েন্সগুলার ফোমোকে। দ্বন্দ্বটা ইন্টারেস্টিং আর স্টকহোমের সিনড্রোমের উসকানিদাতা। এ নিয়ে ভাবা সম্ভবত অনর্থক আর ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিকর।
আপাতত
সুখী হোক সব ফুল
সব পায়ের নুপূর
২৫ আগস্ট ২০২২