জ্যোৎস্নার আলোয় আজ বুঝি ভীমরতি হয়েছে আমার,
মনের বন্ধ জানালা অনেক কষ্টে খুলে দিয়ে-
অবাক বিস্ময়ে নিজেকেই প্রশ্ন করছি
কেন বড় অনুর্বর হয়ে যাচ্ছি।
তপ্ত রবির প্রখরতা আজ কেমন চোখে
ঢুকেও ঢুকছে না,
বর্ষাকাতর দিনে যেন আজ মনে আর আবেগ
জাগছে না।
বেঁচে থেকেও মরে যাচ্ছি,
মার খাচ্ছি,
মার দিচ্ছি!
জোর করে কেন নিজের শেকলে নিজেই
নিজেকে বাঁধছি-
বড় শুষ্ক হয়ে যাচ্ছি!
হ্যাঁ বড় অনুর্বর হয়ে উঠছি-
মনে মনে আমি বড় নিষ্ফল হয়ে যাচ্ছি।
সৃজনশীলতা আজ চাপা পড়ে গেছে
মেকি দুনিয়ার ক্ষণিক মায়াজালে,
বুদ্ধির তেজ বোবা হয়ে গেছে রাতের ঘন
কালো কাজলে।
সত্যি, বড় উদ্ভট হয়ে যাচ্ছি!
আজ কেন বড় মরুময় বোধ করছি?
সৌন্দর্যের তৃষ্ণা যে কেন বহু খুঁজেও আর
খুঁজে পাচ্ছি না,
বেঁচে থেকেও মরে যাচ্ছি-
মার খাচ্ছি,
মার দিচ্ছি!
কপাল ঠুকে মরছি-
বুদবুদের দেয়াল ভেঙ্গে যাচ্ছি, তবু কি পারছি?
আমি কাঁপছি আর কাঁদছি।
কোথায় গেল সেই চাপা পড়া তেজ,
সঞ্জীবনী শক্তি?
কাঁদছি আর ভাবছি-
ভেবে ভেবেই সারা যে হচ্ছি।
উত্তর খুঁজে মরছি।
স্মৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তো শুধু
মিথ্যে আশাই গড়ছি।
খুঁজে বেড়াচ্ছি
ফেলে আসা সেই দিনগুলোর হাতছানি-
অতল সাগরে ডুবছি,
মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছি, পাচ্ছিনা,
পাচ্ছিনা!
তবুও ভেবে মরছি-
আজ কেন বড় নিষ্ফলা হয়ে ঠেকছি
মগজের বীজতলায় কেন ফসল ফলাতে ব্যর্থ হচ্ছি?
ব্যস্ততার অজুহাত দিচ্ছি-
আরে!
জ্যোৎস্নার আলোয় আজ আবার নিশ্চিত ভীমরতি
হয়েছে আমার।
খোলা আকাশের পানে উঠছি
আর ভাবছি,
কেন বড় অনুর্বর হয়ে যাচ্ছি।
নিজেকে হারিয়ে ভাবছি-
ইনসমনিয়ার রাতে আমি একটাই উত্তর খুঁজছি।