অঞ্জন

১২ মের রাত। অঞ্জন দত্ত শুনতে শুনতে কাঁপতেসি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা রাত্রে। মালা দিয়ে শুরু কিন্তু আর থামানো যাচ্ছে না।

বেশ ভালো একটা টাইমে বন্ধ পড়ছে এবার। ঈদের আগে পরে মাথাব্যথা নাই- এই সেন্সে। গ্র্যাজুয়েট করে ফেলসি ফিল হইতেসে :3 অন্তত রেজাল্ট বের হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকুক এমন।

তো, এই লোকের গান আর কম্পোজিশনগুলা ভয়ংকর। এক্সপেরিয়েন্স না করা ফিলিং এর দেজা ভ্যু দেয়। একটা সময় এইরকম জিনিসপত্র প্রোডিউস করার ইচ্ছা জাগত- হয় গান, নয়তো লেখা, কিছু একটা। প্রথমে মেইন জবের স্বপ্ন, পরে আস্তে আস্তে সাইড জবের ভাবনা, সেখান থেকে সময়ের সাথে সাথে হবির জায়গায় নামায়ে নিয়া আসার জোরপূর্বক চিন্তা। আর কত নিচে নামা পসিবল? মনে হয় পসিবল না।

কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। এখনকার থেকে মনে হয় কলেজ লাইফেই বইটই নিয়ে বেশি বসে থাকা হইতো। কিন্ত একটা অদৃশ্য চাপ আছে এখন মাথায়, সর্বাঙ্গে। এই চাপ সরানোই এখন সবচে বড় চ্যালেঞ্জ। চাপে আর যাই হোক, কিছু প্রোডিউস করা টাফ। প্রসেস ফলো করা সম্ভব, কিন্তু রুল ব্রেক করা পসিবল না। চাপে হাতিঘোড়াও উলটে ফেলা যাচ্ছে না। আরো লেজেগোবরে অবস্থা।

আমার রিডার্স ব্লক এখনো কাটেনাই, বইটই গিফট দিছে যারা তারা মনে হয় জানেও না :3 জোর করে ভুংভাং কোনোরকম কিছু লেখি কালেভদ্রে। সুর তালে কথায় ঠিক মিল খায় না। একগুঁয়েমি তো আছেই সার্বক্ষণিক সঙ্গী। সব মিলায়ে চাপ রিলিজ করার উপায় স্বল্প- ব্যতিক্রম এইরকম রাতগুলা। রিল্যাক্স রাতগুলা একটানা না থেকে পুরা বছরের উপর ডিস্ট্রিবিউট করে দিতে পারলে ভালো হইতো।

তখন তো বুঝিনি বড় হওয়া বড়ই শক্ত
বয়সের সাথে সাথে কমে যায় চোখের জল
থেমে যেতে চায় আজ কতবার আমার মনটা
তবু থামিনি যে আমি এখনো…

মিস্টার হল আর শুনতে পায় না!